আপনি কোন ব্রেডিং করাবেন? কলোনী নাকি কেজ....?

 

আপনি কোন ব্রেডিং করাবেন? কলোনী নাকি কেজ....?




কলোনী ব্রেডিং নিয়ে অনেকে অনেক রকমের ধারণা পোষণ করে থাকে। তার মধ্যে কেউ কলোনীকে সমর্থন করে আবার কেউ পুরোপুরি না করে দেয়।আসলে কোন ব্রেডিং প্রোসেসটি ভালো তা জানা দরকার।

আমি সর্বদা কলোনীর বিপক্ষে,কেজ ব্রেডিং কেই সমর্থন করি।
কেনো....?
হ্যাঁ কলোনীকে সমর্থন করি না,তার কারণগুলো,কলোনী ব্রেডিং এর সুবিধা, অসুবিধাগুলো আসুন জেনে নিই।


১.মিউটেশন সমস্যা....

কলোনী ব্রেডিংয়ে প্রথমেই যে সমস্যাটি দেখা দেয় তা হলো আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী মিউটেশন বুঝে পেয়ার ক্রিয়েট করতে পারবেন না,যেটা কেজ এ খুব সহজেই করতে পারবেন।

২.রোগ নির্ণয় কিংবা প্রতিকার সমস্যা....

মনে করেন আপনি কলোনী তে পাখি পালন করেছেন ।আপনার ৫০ জোড়া পাখি আছে।সবাই এক কলোনীতেই থাকে। একটি পাখির সমস্যা দেখা দিল যেকোনো রোগে আক্রান্ত হলো।তখন আপনি তার সঠিক চিকিৎসা করতে পারবেন না।আক্রান্ত পাখিকে কোনো ঔষুধ দিতে গেলে তা বাকি সবগুলো পাখিই খেয়ে নেবে।যার কারণে আপনার সুস্থ পাখিও অসুস্থ হতে পারে।।
জেনে রাখা ভালো যে পাখির রোগগুলো অধিকাংশই ছোঁয়াছে,যা খুব দ্রুত সবার মাঝে ছড়িয়ে পরে।এতে করে আপনার কলোনীর একটি পাখি অসুস্থ হলে বাকিগুলো তে পৌঁছাতে সময় লাগবে না।কিন্তু কেজ এ এসবের কোনো সুযোগই নেই।


৩.খাবার সমস্যাঃ

একেক পাখির একেক রকমের খাবারের প্রয়োজন পরে আলাদা আলাদা সময়ে। যেমন মনে করেন কারো প্রোটিন দরকার,আবার যে পাখি ডিম,বাচ্চা করতেছে তার প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম প্রয়োজন,আবার কারো ভিটামিন প্রয়োজন।আপনি যদি খাঁচায় পাখি পালন করেন তাহলে যে পাখির যখন যা দরকার তাই দিতে পারবেন আলাদা আলাদা ভাবে।কিন্তু কলোনীতে এটা কিভাবে করবেন?তারা তো এক সাথেই খাবার খাবে।


৪.বাচ্চা পাখির নিরাপত্তা....

আপনি যদি খাচায় পাখি পালেন তাহলে পাখি ডিম বাচ্চা করলে তা শুধু ঐ পেয়ারটি দেখাশোনা করে,অন্য পাখির আসা যাওয়ার কিংবা আক্রমণ করার কোনো সুযোগ নেই,কিন্তু কলোনীতে যেকোনো পাখি আপনার অন্য পাখির বাচ্চার ক্ষতি করতে পারে।আবার মনে করেন আপনার পাখির বাচ্চার বয়স ১০ দিন কিন্তু বাবা পাখি আবার মিট করার চেষ্টা করছে কিংবা বাচ্চার পালক তুলে ফেলছে।খাচায় যদি আপনি পাখি পালেন তাহলে চিন্তার কোনো কারণ নেই, বাবা পাখি আলাদা রাখলেই ঝামেলা শেষ,কিন্তু কলোনীতে আপনি কি করবেন?


৫.পাখির রেস্ট....

সাধারণত পাখি ডিম বাচ্চা করানোর পর দুই থেকে তিন মাস রেস্টে রাখতে হয় যা খাচায় পালন করলে খুব সহজেই করানো সম্ভব কিন্তু কলোনীতে তা সম্ভব নয়।

৬.আয়-ব্যায়....

আপনি যখনি ৫০ কিংবা তারও বেশি পাখি পালন করা শুরু করছেন তখনি চিন্তা করছেন আয়ের কথা,কেমন আয় হবে তার কথা।
বিভিন্ন প্রতিবেদন কিংবা সাক্ষাৎকারে অনেক কলোনী খামারিদের দেখা যায়।যাদের হিসাব কিছুটা এরকম....
মোট পাখি আছে ২০০ টি মানে ১০০ জোড়া,যা থেকে মাসিক আয় ২০০০০ টাকা।

শুনেই ভালো লাগে, বাহ অনেক ভালোই তো,আসুন এবার আমরা একটু হিসাব করি...

১০০ জোড়া থেকে ২০০০০ টাকা মানে ১ জোড়া থেকে ২০০ টাকা।লোকাল বাজারে পাইকারি বিক্রি করলে আপনি একটি করে বেবি ৮০-৯০ টাকা করে বিক্রি করতে পারবেন,যার মানে প্রতিবার বেবি আসে ১০০ পিস।
বাজরিগার পাখিকে যদি গড়ে হিসাব করেন তাহলে প্রতিটা পাখি ৪টা করে বেবি তুলে,এক্ষেত্রে ১০০টা বেবি আসে ২৫ জোড়া পাখি থেকে।
তাহলে দেখেন ১০০ জোড়া পাখি থেকে গড়ে প্রতিবার ডিম বাচ্চা করে ২৫-৩০ জোড়া পাখি। কিন্তু আপনি যদি খাচায় পালন তাহলে ১০০ জোড়ার ১০০ জোড়াই ডিম বাচ্চা করবে।।

তবে খাচায় পরিশ্রম এবং সময় অনেক বেশি দিতে হয় যা কলনীর তুলানায় কয়েকগুন বেশি।


এখন আপনি ভেবে নেন আপনি কোন পদ্ধতিতে পাখি পালন করবেন।
এটা শুধু সুবিধা আর অসুবিধা গুলো নিয়ে লেখা। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী ব্রেডিং করাতে পারেন।।


চ্যানেলের নাম BARASAT BIRDS BREEDER

Youtube chenel LINK:-

https://m.youtube.com/channel/UCHROIvgQ8tMym_JPmKWZtbw

Facebook page link.

https://m.facebook.com/Raj.basak.1995/?ref=bookmarks

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন লাইক করবেন. পোস্ট টি পড়ার জন্য অন্নেক ধন্যবাদ.

BARASAT BIRDS BREEDER



মন্তব্যসমূহ