ফ্রেঞ্চ মোল্ট একটি ভাইরাসজনিত রোগ ।।
সাধারনত প্যারাকিট (parakeet) জাতীয় পাখিদের মধ্যে এই রোগ এর প্রকোপ বেশি দেখা যায়।
১ দিন থেকে ৪ মাস বয়সী পাখি এই রোগের কারনে মারা যায়।
এই রোগ মোকাবেলা করার মত ক্ষমতা বাচ্চাদের নেই। আর যেসব পাখিদের বয়স ৪ মাসের বেশী তারা এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় না ঠিকই, কিন্তু অত্যন্ত দূর্বল হয়ে পড়ে। আর প্রাপ্ত বয়স্ক পাখিরা যদি এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে, তাহলে তাদের দ্বারা উৎপাদিত বাচ্চাদেরও এই রোগ হয়ে থাকে।
এই রোগ প্রতিকার করা এখনও সম্ভব হয়নি, কিন্তু প্রতিরোধ সম্ভব। প্রতিকারের জন্য এখনও গবেষনা চলছে।
ফ্রেঞ্চ মোল্ট রোগের কারণ কি??
পুষ্টিকর খাবারের অভাব।
পর্যাপ্ত প্রোটিন ও আমাইনো এসিড এর অভাব।
অতিরিক্ত ব্রীডিং এর ফলে।
অল্প বয়স্ক পাখি দিয়ে ব্রীডিং করালে ।
অফ সিজনে ব্রীডিং করালে।
সুস্থ সবল পাখি দিয়ে ব্রীডিং না করালে।
পাখির খাঁচা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন না রাখলে।
পাখির খাঁচাতে বাতাসের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না রাখলে।
পাখির ঝরে পড়া পালক প্রতিদিন পরিষ্কার না করলে।
পাখির খাবার যথেষ্ঠ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না হলে।
ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ও মিনারেল পর্যাপ্ত পরিমান না খাওয়ালে।
ফ্রেঞ্চ মোল্ট রোগের লক্ষণ কি কি??
কিভাবে আপনি বুঝতে পারবেন যে, আপনার Aviary তে French Molt রোগে আক্রান্ত পাখি আছে?
পাখির শরীর থেকে অস্বাভাবিক ভাবে পালক ঝরে পড়লে।
পালকের গোড়ায় রক্ত জমে থাকলে।
পাখি খাঁচার কোনায় চুপচাপ বসে থাকলে।
আপনার Aviary এর মেঝেতে অস্বাভাবিক ভাবে পাখির পালক পড়ে থাকলে।
কোন কারণ ছাড়াই যদি বাচ্চা পাখি মারা যায় হাড়িতে।
বি: দ্র: আক্রান্ত পাখি কিন্তু যথেষ্ঠ সচল থাকে। খাওয়া দাওয়াও ঠিকমত করে । তাই, সাধারনভাবে বুঝে ওঠা বেশ কষ্টকর ।
ফ্রেঞ্চ মোল্ট্ প্রতিরোধের উপায় কি??
প্রতিকার এর চেয়ে প্রতিরোধ করাই শ্রেয়। কারণ প্রতিকার এর উপায় এখনও আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। তবে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ সমুহ নিয়ে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়।।
পাখির ঘনত্ব কম রাখা । একই খাঁচায় অনেক পাখি না রাখা। পাখিদের খাঁচার ভিতর পর্যাপ্ত পরিমান জায়গার ব্যবস্থা রাখা।
আক্রান্ত পাখিকে অন্য পাখিদের থেকে আলাদা করে ফেলা।
অন্তত ৪/৫ মাস নতুন কোন পাখিকে Aviary তে না আনা।
অন্তত ৩/৪ মাস Aviary তে কোন ব্রীডিং না করানো।
সপ্তাহে অন্তত একবার সব খাবার ও জলের পাত্র গরম জল ও লবণ দিয়ে পরিষ্কার করা।
পাখির খাঁচার সর্বোচ্চ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা।
Aviary তে দ্বিমুখী বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়া।
Aviary এর মেঝে প্রতিদিন অন্তত একবার স্যাভলন মিশানো জল দিয়ে পরিষ্কার করা।।
এছাড়াও খাবার এর ক্ষেত্রে কিছুটা সচেতন হয়েও এই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।।
সূর্যমুখীর বীজ, ভুট্টা, ডিম, পালংশাক, পিঁপড়ের ডিম খেতে দেয়া প্রয়োজন।
কারন এসব খাবার আমাইনো এসিড সমৃদ্ধ, যা পাখির পালকের ঝরে পড়া থেকে পাখিকে রক্ষা করে।
তাজা সবজি, গাজর, মটরশুটি, ডিমের খোসা গুড়া মিশিয়ে খাওয়ানো প্রয়োজন।
মিনারেল ব্লক খাওয়াতে হবে।
পরিষ্কার জল খাওয়াতে হবে।
এই রোগে আক্রান্ত হলে পাখি ডিহাইড্রেশন এ ভোগে। তাই খাঁচায় পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
খাঁচায় তুলসি পাতা ডাল সহ বেধে রাখা যেতে পারে। খাঁচা জীবানুমুক্তও থাকবে।
পাখিও পাতা খেতে পারবে, যা তার স্বাস্থের জন্য যথেষ্ঠ উপকারি।
খাঁচায় যদি খেলনা, দোলনা ইত্যাদি দেয়া যায় তাহলে পাখি সারাদিন খেলাধুলা / এক্সারসাইজে ব্যস্ত থাকবে। এতে করে তার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। ।।
যদি আপনার কাজে লাগে তাহলে পোস্টটি শেয়ার করুন ।
ধন্যবাদ
চ্যানেলের নাম BARASAT BIRDS BREEDER
Youtube chenel LINK:-
https://m.youtube.com/channel/UCHROIvgQ8tMym_JPmKWZtbw
Facebook page link.
https://m.facebook.com/Raj.basak.1995/?ref=bookmarks
ভালো লাগলে শেয়ার করবেন লাইক করবেন. পোস্ট টি পড়ার জন্য অন্নেক ধন্যবাদ.
BARASAT BIRDS BREEDER
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন